Friday, May 24, 2019

Admission Test 2

ইন্টার পরীক্ষা দিয়েই আবেগে পোলাপান উদ্ভাস কোচিং এ ভর্তি হয়েই বয়ান দেওয়া শুরু করে"আরে বুয়েট ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল। বুয়েট ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো ভার্সিটি আছে???বুয়েট এ চান্স না পেলে আর পড়াশোনাই করবো না।
অত:পর প্রথম ডোজ হিসেবে  রেজাল্ট দেওয়ার পরে রেজাল্টে বাঁশ খাইয়া বাণী পাল্টাইয়া আবার বলা শুরু করে - বুয়েট আসলে কিছু না। ঢাবি ই সব,ঢাবি তেই পড়বো।ঢাবি ছাড়া অন্য কোনো ভার্সিটি তে মানুষ পড়ে?? সব তো গাধারা পড়ে ঢাবি বাদে অন্য ভার্সিটি গুলোতে।

ঢাবি তে এক্সাম দিয়ে রেজাল্ট শীটে যখন হারিকেন দিয়ে খুজেও পাস মার্ক দেখতে পারে না,তখন আবার দ্রুত পল্টি নিয়ে নতুন ডায়ালগ দেয়,ঢাবি ই কি সব না কি???ঢাবি বাদেও দেশের আরো ৩৯ টা পাবলিক ইউনিভার্সিটি আছে। ঢাবিও যা, অন্য গুলোও তা,পাবলিক ইজ পাবলিক।

যখন অন্য ভার্সিটি গুলোতেও নিজের নাম মেরিট লিস্টে হাজারবার চেক করে পায় না তখন ঠিক ই বুঝে যায় লাইফ টা আসলে এত্ত সহজ না। লাইফের প্রতিটা মুহূর্তে রয়েছে নাটকীয়তা। যে তুমি আগে বুয়েট, ঢাবি ছাড়া অন্য কোনো ভার্সিটি কে গোনার মধ্যেই ধরো নাই,,অন্য ভার্সিটিরর নাম শুনলে নাক সিটকিয়েছো, ঢাকার বাইরে বলে হাজারো ট্রল করেছো অথচ সেই ভার্সিটি তেই তোমার চান্স হইলো না।
এইরকম হাজারো ছেলে মেয়ের জীবনে হয়। যারা অন্য প্রতিষ্ঠান কে অবজ্ঞা করে,অসম্মান করে তারা একসময় ঠিকই বুঝতে পারে ঢাকার বাইরে,অজপাঁড়া গায়েরও একটা পাবলিক ভার্সিটি পড়তে না পারার আক্ষেপ টা কত বেশী।
Shariful Islam Nirob
BSMRSTU

Engineering College vs University

ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং

প্রশ্ন ১ - ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কি?
প্রশ্ন ২ - ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কি আমাকে মানসম্মত ইঞ্জিনিয়ারিং পরিবেশ কিংবা শিক্ষা দিতে পারবে?
প্রশ্ন ৩ - ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কেন পড়বো এবং পড়বো না?

অনেক সাধারণ কিছু প্রশ্ন, উত্তর গুলো ও বেশ সাধারণ। দেশে ৪০+ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভীরে
৪ টি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ মানসম্মত ইঞ্জিনিয়ার তৈরিতে আসলে কতটা গুরুত্ব বহন করে, তা এই
৩ টি প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে বলার চেষ্টা করবো।
বাংলাদেশে ৪ টি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ আছে এবং এগুলো স্নাতক পর্যায়ের ডিগ্রী প্রদান করে।
খাটি বাংলা ভাষায় একজন প্রোপার আইডিয়াল ইঞ্জিনিয়ার বানানোর আতুর ঘর বলা চলে। এমন কাজটা
দেশের ৫ টি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় তো করেই সাথে বাকী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ও করে।
তবে কথায় আসি, ৪ টা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দরকার কি? আসলেই আলাদা ভাবে দরকার কি?
দরকার টা ছিলো ৫ টি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কলেজ গুলোর থেকে দেশের জন্য মানসম্মত প্রকৌশলী  সৃষ্টি করা।
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কি তার একটা মোটামুটি উত্তর পাওয়া গেছে।
এবার আসি ২য় প্রশ্নে , এতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভীরে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কি আমাকে মানসম্মত ইঞ্জিনিয়ারিং পরিবেশ কিংবা শিক্ষা দিতে পারবে?
পারবে কি একটা মানসম্মত ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করতে? মানের হিসেব টা বাংলাদেশে অনেক কঠিন কারণ এই স্ট্যান্ডার্ড ধরার মতো অপশন কম,
তুলনা যেহেতু করতেই হবে তাহলে ইঞ্জিনিয়ারিং স্পেশালাইজড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথেই করা যাক। বিশ্বের নামিদামি দেশ গুলো যেমন গবেষনাধর্মী
শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা করে আমাদের দেশে তেমন টা না হলেও আমাদের দেশে যা সাফল্য এদেশে দেখা যায় তা টেকনিক্যাল সাইড থেকেই দেখা যায়,
যেমন - ইঞ্জিনিয়ারিং,মেডিকেল,এগ্রিকালচার ইতায়াদি। সেটা যেই বিশ্ববিদ্যালয় ই হোক না কেন, হিসেব করলে
দেখা যাবে ১ বছরের সবচেয়ে বেশি গবেষনা
হয় ইঞ্জিনিয়ারিং না হয় ফার্মেসি,জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং,বায়োক্যামেস্ট্রি না হয় এগ্রিকালচার সাইড থেকেই হয়।
তাহলে বুঝাই যায় এদেশেও ইঞ্জিনিয়ারিং এ অন্তত কিছু হলেও মনোযোগ দেয় এদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো। আর সেটা যদি হয় ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়
তবে তারা শতভাগ দেয় তা তো বুঝাই যায়।
কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আসলে হয় কি? তাদের কি আসলেও এই ধরনের গবেষনার সুযোগ আছে?? আছে গবেষনার মতো ল্যাব??
সেদিকে পরে আসি, আগে দেখি সমসাময়িক দিকে ভাবলে এদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় তে কি কি আছে? যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তারা কি আপডেট করছে?
শুধু ২০১৮-১৯ বছরের সংযোজন গুলো,
*বুয়েটের নতুন সংযোজন রোবটিক্স ল্যাব
*কুয়েটের High Definition Visual Computing and Multimedia Lab
*রুয়েটের আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ল্যাব
*২ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চুয়েটে স্থাপিত হতে যাচ্ছে "Smart Power system Simulation Lab" Importing from Canada
এটা তো এবছরের আপডেট ল্যাব ফ্যাসিলিটিস, প্রত্যেক বছর এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন আপগ্রেড হতেই থাকে।
এছাড়াও দেশের সেরা এনিম্যাশন ল্যাব ঢাবি এবং ভি আর ল্যাব রাবি তে আছেই। সাস্টের ল্যাবের কথা বললেও কম হবে, যদিও এই ৩ টার একটাও পূর্নাঙ্গ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় নয়।
প্রত্যেক ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় ই প্রতি বছর আলাদা ভাবে ৩০০+ কোটি টাকা করে বাজেট পায়, সেখানে উন্নয়ন বাজেট ও তো থাকে,
তবে সেখানেও গবেষণার বাজেট টা খুব সীমিত ই থাকে,
যার জন্য রেসিং কার বানিয়েও রুয়েটিয়ান রা খুব একটা সুবিধা করতে পারে নি।
এতো সীমাবদ্ধতার মাঝেও ন্যুনতম ফান্ডিং এ নানা রকম ইনোভেটিভ কাজ করে যাচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
কিন্তু একটা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কি আছে? কি করতে পারে সেখানের শিক্ষার্থীরা? কতটুকু বাজেট ই পায় কলেজ গুলো?
কতটুকু আপগ্রেড হয় এইসব কলেজের ল্যাব?
এর একটা ছোট উদাহরণ দেই, কোন এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একবার ল্যাব রিপেয়ার করার কাজ চলছিলো যেখানে গিয়ে দেখা গেলো,
পিসিতে নতুন সিমুলেশন সফটওয়্যার রান করার মতো এনাফ কনফিগারেশন ই এভেইলেবল না। সস্তা ক্র্যাক ডিস্কের করা হলো সেটাপের কাজ,
ল্যাবের ২ টা সার্ভার টাওয়ার পরে রইলো এক কোণায়। সিএসই ল্যাবের এনিমেশন ল্যাবের পিসি কনফিগে র‍্যাম হলো ২ জিবি, অস্বাভাবিক কিছু না
যারা এ নিয়ে ন্যুনতম জ্ঞান রাখে তারা বুঝতেই পারবে একটা ইঞ্জিনিয়ারিং স্পেশালাইজড শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২ বছর আগের ল্যাব এখন এসবে অচল হওয়ার পথে।
কারণ সরকার এসবের জন্য বছরে বছরে আপডেটের কোন অপশন এখানে দেয় নি।
এছাড়া বাস্তব কথা হলো শুধু সিমুলেশন ল্যাব নয় টোটাল কম্পিউটার ল্যাব কিংবা অন্যান্য ল্যাবের প্রোপার অরিজিনাল সফটওয়্যার সেবা কিংবা হাইস্পিড অপটিক ফাইবারের
ন্যুনতম সেবা কোন সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে নেই। নামে মাত্র ল্যাব থাকলেও কাজের জন্য কিংবা গবেষণার জন্য সেসব সমসাময়িক প্রযুক্তি থেকে অনেক পিছিয়ে।
যেখানে একটা ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে বছরে কোটি কোটি টাকা শুধু ল্যাব আপগ্রেডের পিছনে ব্যায় হয় সেখানে অবহেলায় থাকে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,
এমনও উদাহরণ আছে,অনেক ল্যাবের যন্ত্র গুলো ১২ বছরে সেটাপ করার কথা এক বার ও কেও ভাবে নি, সেই ল্যাবের থিসিসের জন্য পাশের পলিটেকনিকেও যাওয়া লেগেছে অনেকের।
একটা ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সীমাবদ্ধতা থেকেও তারা ইনোভেটিভ কাজ করার যে সুযোগ টা পায় তা তাদের ন্যুনতম মানের জন্য কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের
এই মান দিয়ে কি আদৌ স্ট্যান্ডার্ড লেভেলে পৌছানো সম্ভব?? কতটুকু মানসম্মত সেটার উত্তর আপনারাই খুজে নিন।
আমাদের দেশের অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী স্টুডেন্ট রা ন্যুনতম সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশ বিদেশে কম্পিটিশন চষে বেড়াচ্ছে, তবুও অভিযোগ আর বাস্তবতা হলো বিশ্ববিদ্যালয় তাদের তেমন সাপোর্ট দেয় না কিংবা যা দেয় তা এনাফ না।
তাহলে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একজন ছেলে কি পাচ্ছে? কতটুকু পাচ্ছে? কতটুকু যে নিজের স্বপ্নগুলা বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য সুযোগ পাচ্ছে? ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্টুডেন্ট দের ও তো
এসব কিছু পাওয়ার অধিকার আছে। তাদের ও অধিকার আছে ভালো ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার আর গবেষণার মিনিমাম পরিবেশ পাওয়ার। এখানে ভালোই বোঝা যাচ্ছে কতটুকু পাওয়া যাচ্ছে।
৪ টা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কে বছরে সর্বসাকুল্যে ২০ কোটি টাকা বাজেট দেয়া হয় কিনা সন্দেহ, তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্রেন্ডলি পরিবেশ, যুগের সাথে আপগ্রেড করা তো দূরে থাকুক।
এর মাঝে আবার নতুন আরো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ যেখানে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কে ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট বলে সঙ্গায়িত করা হয়েছে এক প্রকল্পে। এই হচ্ছে প্রকৌশল তৈরির নীতি নির্ধারকদের অবস্থা।
এবার আসি ফাইনাল প্রশ্নে, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কেন পড়বো এবং পড়বো না?
ইচ্ছা যদি হয় ইঞ্জিনিয়ারিং সার্টিফিকেট আর চাকুরি তাহলে পড়েন ,পাশ করে একটা চাকুরি নিয়ে নেন।
কারণ আর যাই হোক পাশ করে বেকার কেও বসে নেই।
কারো যদি প্যাশন থাকে ইঞ্জিনিয়ারিং তবে নিজেকে গোবরে পদ্মফুল হিসেবে ফোটানো ছাড়া এখানে পড়ার মানে নেই।
তারপর যার যার ইচ্ছাটাই মেইন।

অনেকে বলতে পারে, একটা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্টুডেন্ট কি করে এসব বলে। আসলে বিষয় গুলা আক্ষেপ থেকে বলা,
অধিকার আদায় না করার আক্ষেপ থেকে। আজ হিসবে করলে দেখা যাবে হাতে গোনা কিছু গবেষণা পত্র পাওয়া যাবে কলেজ থেকে পাবলিশ হওয়া,
আবার অনেকে এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না। র‍্যাংকিং ইন্টারন্যাশনাল র‍্যাংকিং তো দূরের কথা। নিজের প্রতিষ্ঠান কি সেটাও ক্লিয়ার ভাবে জানে না আবার এ নিয়েও কেও চিন্তা করে না।
আক্ষেপ গুলোর ভাষা ই এমন হয়ে লেখায় প্রকাশ পেলো, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সিস্টেম টাই পুরো ভুলে ভরা অবস্থায় শুরু হয়েছে, যা মডিফাই করার
কোন যোগ্য জনবল ১ যুগেও হয়ে উঠে নি। এর মাঝে নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রজেক্ট সেগুলো কতটা দেশ ও জাতির উপকারে আসবে না জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দিবে সেটাই দেখার বিষয়।

তারিকুল ইসলাম
ইইই ডিপার্টমেন্ট
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

Tuesday, May 21, 2019

Admission Test 01

ছোটরা যারা এইচএসসি শেষ করেছে, তাদেরকে এই সত্য কথাগুলো জানাতে পারেন। খুব দামী!

আর অল্পকিছুদিন কষ্ট করে পড়ে একটা ভার্সিটিতে ভর্তি হও।

ভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারলেই যা যা পাবা........

১. পড়াশোনা করা লাগবেনা
২. ক্লাস করতে হবেনা
৩. এক্সামও খুব একটা দেওয়া লাগবেনা

৪. ভর্তি হওয়ার পর থেকেই প্রতিদিন ২/৩ টা করে টিউশনির প্রস্তাব পাবা।

৫. শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা তো বাবা-মা'র চেয়েও বেশি আদর করে। ২৪ ঘন্টা খোজ খবর রাখে। এক্সাম ভালো না দিলেও প্রচুর মার্কস দেয়। তোমার যখন ক্যান্টিনে খেতে ভালো লাগবেনা। শিক্ষকরা বাসায় দাওয়াত করে খাওয়াবেন। তাদের আদর পেয়ে নিজের বাবা-মা'কেই ভুলে যাবা।

৬. ভার্সিটির ক্যান্টিনগুলোতে মজাদার সব খাবার পাবা। এতো স্বাদ আর মানসম্মত যে মায়ের হাতের রান্নার কথাও মনে পড়বেনা। কুব ট্যাশ!

৭. এই সময়ে এসে এসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশনের ভয় অনেকেই দেখাবে তোমাকে। বিশ্বাস করো, এগুলাই নাই বললেই চলে ইউনিভার্সিটিতে। যা আছে খুবই গৌণ হিসেবে ধরা হয়। দিলে দিবা না দিলে নাই! আমি নিজে সাক্ষী।

৮. মোবাইলে জিপি থেকে যেভাবে প্রতিদিনই offer এর টেক্সট পাও৷ এইভাবেই মেয়েদের কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব পাবা খালি। একটা সময় বিরক্ত লাগবে! এতো ওফার টফার! কার ভালো লাগে!

৯. ২৪ ঘন্টা খাবারের ব্যবস্থা আছে। যখন মন চাইবে খালি অর্ডার করলেই খাবার চলে আসবে।

১০. এখানে সবাই খুব রুটিন ফলো করে। তোমার বন্ধুবান্ধবরা রাত ১২টার পর কখনোই তোমাকে ডাকবেনা। কেননা, সবাই ১২টার আগেই ঘুমিয়ে পড়ে। কাক ডাকা ভোরে উঠিয়া যায়!

১১. অনেক ভালো ভালো বন্ধু। এইসব বন্ধুরা প্রয়োজনে তোমার জন্য কলিজা দান করে দিতে প্রস্তুত থাকবে। জীবনেও নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করেনা এরা!

১২. পরিবেশতো খুবই ভালো। ২৪ ঘন্টা এয়ারকন্ডিশনিং রুমে থাকবা। প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা রুম থাকবে হলে। এক একটা রুম একটা বাড়ির সমান। অনেক রুমেতো পারসোনাল সুইমিংপুলও আছে।

১৩. থাকার জায়গায় কোনো ঝামেলাই নাই। জানালার পাশ থেকে বেলীফুলের ঘ্রাণ আসবে। ফোমের বিছানা। ছাড়পোকার কথা যারা বলে ওরা ভার্সিটিবিদ্বেষী!

১৪. আর চাকরি? গ্রাজুয়েশন শেষ করার আগেই দেখবা বিভিন্ন কোম্পানির এজেন্ট হল গেইটে বসে আছে। চাকরি নিজেই তোমাকে খোজা শুরু করবে তুমি ভর্তি হওয়ার পর থেকেই! তুমি খুজতে হবেনা!

১৫. ভর্তি হয়ে চাইলে বিয়েও করে ফেলতে পারবা। পাত্রীর বাবাকে গিয়ে বললেই হবে ভার্সিটিতে পড়ো।

আপাতত এগুলাই, আরও অনেক চমক আছে। খালি একবার ভর্তিটা হইলেই টের পাবা! প্রচুর আরাম!!

Collected

Monday, May 20, 2019

Engineers Life Story 1


Engineers Life Story 1 

       অনেক ছোট থাকতে,যখন বুঝতাম ই না তখনই সবাই বলতে লাগল 'জিদান' ইঞ্জিনিয়ার হবে,অথচ ইঞ্জিনিয়ার মানেটা কি তাই বুঝতাম না। আমার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হবে,আমার নাতি ইঞ্জিনিয়ার হবে, আমার ভাই ইঞ্জিনিয়ার হবে শুনতে শুনতে অনেক সময় বিরক্তি লাগা শুরু করল।ক্লাস ৫ এ খারাপ রেজাল্ট, ৮এ খারাপ রেজাল্ট করার পর এসএসসি তে একটু ভালো হয়েও এইচএসসি তে জিপিএ ৪ .. ছেলে পুরা নষ্ট হয়ে গেছে। গেলাম ভর্তি পরীক্ষা দিতে জিপিএ ৪পয়েন্ট নিয়া। এত জায়গায় পরীক্ষা দিয়েও কোনও লাভ নাই।পজিশন আসলেও চান্স পাওয়ার মত কোনো জায়গায় পজিশন আসেনি।যে আম্মু প্রত্যেকটা ভার্সিটিতে প্রত্যেক ইউনিট এ ফর্ম তুলতে বলত সেও একসময় আশা হারিয়ে ফেলল।সবাই ধরেই নিল চান্স হবেইনা।শেষে মাত্র দুইটা জায়গায় পরীক্ষা বাকি ঢাবির প্রযুক্তি ইউনিট আর বুটেক্সের অধীনে টেক্সটাইল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা।আল্লাহর রহমতে শেষমেষ দুই জায়গায় ই চান্স হল।জিপিএ ৪ নিয়ে কোনো জায়গায় চান্স না পাওয়া ছেলেটিও ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হল। সবার আশা পূরণ হল। 


        অথচ একবার কেও জানতেও চাইল না আমার কিসে ভালো লাগে, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পাশাপাশি আর কোনও চাওয়া আছে কিনা।ছোটবেলা থেকেই গীটারের প্রতি খুব টান ছিল আমার,ইচ্ছা ছিল বড় একটা শিল্পী হব।অথচ একটা গিটারই পেলাম না এখনও🙂।শখের বশে দুই একটা ছবি তুলি মাঝে মাঝে,তাতেও কিছু মানুষের সমস্যা,ছেলে পড়ালেখা করে না,জীবনে এত কিছু একসাথে হবে না হেন তেন।সবার চাওয়া পূরণ করতে পারলেও আমার চাওয়ার দিকে কেও তাকিয়েও দেখবেনা🙂


       দায়িত্ব নেওয়া শেখার জন্য হলাম সি আর। নিজে যতটা পারি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি সবাইকে সাহায্য করার জন্য,যতটা ডেডিকেটেড থাকা যায় ততটাই চেষ্টা করি,তবুও কিছু মানুষের মন জয় করতে পারিনা। 


       এতদিনের জীবনে এইটুকু বুঝা হয়ে গেছে,আপনি যত চেষ্টাই করুন না কেন,সবার মন জয় করে চলতে পারবেন না।ভালো থাকুক সবাই



Zinadine Zidane Neloy
Department of CE 
Faridpur Engineering College